১৭ মে ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
মেয়েরা চাকরি শুরু করার পর থেকেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায় ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’নীতি বাস্তবায়নে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ১৫দিন ধরে অনুপস্থিত,মেলেনি নোটিশের জবাব বাবুগঞ্জে ইউপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৫ টি ল্যাপটপ চুরি তিন লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক বরিশালের হিজলা ও মুলাদীতে। চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের উদ্বোধন বিদেশ ফেরত আগৈলঝাড়ার দুই যুবকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি চাঁদা’ হিসেবে লুঙ্গি দাবি, ওসিকে বদলি! বাবুগঞ্জে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়তেই এ সফর: ডোনাল্ড লু
সিলেট জুড়ে দেশী মাছের সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে

সিলেট জুড়ে দেশী মাছের সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: গোঠা সিলেট জুড়ে দেশী মাছে সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। জেলা ও উপজেলার গ্রাম গঞ্জের বাজারে আগের মতো এখন দেশী মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। হাওর, বিল ও নদী এখন পাওয়া যাচ্ছে না বলে মাছ ব্যবসায়ীরা জানান। নানা কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোকজন দেশী মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মাছের উৎপাদন কমে আসার কারণ হিসেবে নানা বিষয় তুলে ধরছেন হাওরপারের লোকজন।
সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বেশি ভাগ মাছ আসতো সুনামগঞ্জ থেকে তার মধ্যে শাল্লার ছায়ার হাওর, খোয়ার হাওর, সতুয়া নদী, সোনাকানী বিল, ভান্ডা বিল, চিনামারা বিল, হারিয়া বিল এবং বড় হাওরের ধান বাঁচাতে বিলের সবদিকে বাঁধ দেয়া হয়। এই বাঁধের কারণে মাছ ঢুকতে পারছে না। যেগুলো আছে সেগুলোও চলাচল করতে পারে না। ফলে শুষ্ক মৌসুম বিল সেচেও তেমন মাছ পাওয়া যায় না।
ধান রক্ষায় অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণের জন্য মাছের প্রজণন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাঁধের কারণে মাছ ইচ্ছা মতো পানিতে ঘুওে বেড়াতে পারছে না। এ কারণে হাওরের মাছ কমে যাচ্ছে। রোগবালাই থেকে রক্ষার জন্য ধান গাছে অতিমাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগও হাওরের মাছ কমে যাওয়ার কারণ।
জেলেরা বলছেন, আমরা এখন আগের মতো মাছ ধরতে পারছি না। আমরা হাওরাঞ্চলের অনেক মানুষ যারা মাছের উপর ভরসা করে চলতাম এখন আর চলতে পারছিনা। এজন্য বউ বাচ্চা নিয়ে বিপদে আছি।
সুনামগঞ্জ দাউদপুর বাজারের মৎস্য আড়তের মালিক মোহাম্মদ আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, ভাটির হাওর এখন মাছ শূন্য। মাছ নেই বললেই চলে। আমাদের ব্যবসাও খুব মান্দা। এলাকার অনেক কৃষকের ভাষ্য, উচ্চফলনশীল ধান ফলানোর প্রতিযোগিতায় নেমে আমরা অতিরিক্ত সার, অতিমাত্রায় কীটনাশক দিয়ে নিধন করছি মাছ ও মাছের প্রজণন।
অন্যদিকে অবাধে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ নিধন হচ্ছে। অবাধে বিক্রি হচ্ছে রেণু পোনা, কেউ বাধা দিচ্ছে না। মাছের প্রজাতির বিলুপ্তি ঠেকাতে ও উৎপাদন বাড়াতে অবশ্যই পোনা মাছ এবং ডিমওয়ালা মাছ নিধন বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে ক্ষতিকর জালের ব্যবহারও। হাওর এলাকায় এসব কেউ মানছে না।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক যুগ আগেও প্রায় ১০৭ প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। এর মধ্যে গত কয়েক বছরে বেশকিছু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্ত হওয়ার পথে আরও কিছু প্রজাতি।
সংকটাপন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে- বাছা, বেদা, ছেপচেলা, ঢেলা, বাঁশপাতা, কুঁচে, নাপতে কই, বাতাসিয়া টেংরা, ফলি ও গুজিআইড়। আর বিপন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে- গুলশা, গনিয়া, দাড়কিনা, আইড়, পাবদা, বড় বাইম, গজার, তারাবাইম, তিতপুঁটি, নামা চান্দা ও কালিবাউশ দারপিনা।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নদীর মাছ আগে হাওর ও বিলে গিয়ে আশ্রয় নিতো। এখন বাঁধের কারণে নদী থেকে হাওর বা বিলে যেতে পারছে না মাছ।
সিলেটে প্রতিবছর বন্যার পানি নামার উপর হাওর, বিলে প্রচুর পরিমান দেশি মাছ পাওয়া যেত কিন্তু এ বছর হাওর বিল থেকে পানি নামার পর তেমন কোন দেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। সিলেটে জেলার প্রতিটি বাজারে দেখা যায় বিদেশি ও ফিশারির মাছ। দেশি মাছ দেখা গেলেও মাছ থেকে ক্রেতা বেশি,দামও চওড়া।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019